পুলিশ আশেপাশে খোঁজ শুরু করেছে।সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা গেছে আবাসন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে দীপা। ক্যামেরায় যেটুকু ধরা পড়েছে, তাতে সঙ্গে কেউ নেই। দীপা একাই আছে। কোথায় গিয়েছে এত রাতে? কাউকে কিছু না বলে গেল কোথায়? আবাসনের আশেপাশের অনেকটা জায়গা এখনো বেশ জংগুলে। ধারে কাছে হোগলার বনের অবশিষ্টাংশ দেখা যায়। লাগোয়া পুকুর। অন্যদিকে, দূরে দু’চারটে দোকান। নতুন নতুন আবাসন তৈরি হচ্ছে পুরো কলকাতা জুড়েই। দীপারাও ফ্ল্যাট কিনেছে ভবিষ্যতে জায়গাটা জমজমাট হবে ভেবে। পুলিশ জংগুলে জায়গাটার দিকে খোঁজ করেছে। নীপা,ওদের বাবাও পুলিশের সঙ্গে ছিল। অনেকটা গিয়ে পুকুরের পিছনের জংগলের মধ্যে দীপাকে দেখতে পেল ওরা। এদিজে জল কাদার রাজত্ব। সেই জলকাদায় মাখামাখি হয়ে আছে দীপা। পেটে,হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ! গলার নলি কাটা। শরীরে পোশাক নেই। কী কারণে দীপার মৃত্যু হল! কে অপরাধী ? কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। কে ওকে ফোন করে বাইরে ডেকেছিল? সেই নাম্বারের ফোন সুইচড অফ। নতুন সিম থেকে ফোন করে সিম ফেলে দিয়েছে। কিন্তু লোকেশন তো মার্ক করা যাবে! এটা কি প্রি প্ল্যানড মার্ডার? দীপা কি কারও শত্রু হয়ে উঠেছিল? কারও গোপন কথা জেনে ফেলেছিল? কে দীপার খুনি? কেন অচেনা নাম্বারের ফোন পেয়ে বাইরে গেল দীপা? তাহলে কি খুনি দীপার পরিচিত ?
জানতে হলে পড়তে হবে সাহিত্যিক সাগরিকা রায়ের রহস্য উপন্যাস ‘ঝিঁঝিঁর শব্দ’ শুধুমাত্র আলোক শারদীয়া ১৪৩১ সংখ্যায়।